
সি.এস.বি২৪.কম।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাগেরহাটের রাজাকার শেখ সিরাজুল হক ওরফে কসাই সিরাজ ওরফে সিরাজ মাস্টারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এ মামলায় অপর আসামি রাজাকার খান আকরাম হোসেনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় দেন। রায়ে মোট ১ শত ৩৩ পৃষ্ঠা রয়েছে। ১, ২, ৩, ৪ ও ৫ নম্বর অভিযোগে সিরাজ মাস্টারের মৃত্যুদণ্ড এবং ৬ নম্বর অভিযোগে দু’জনকেই খালাস দেয়া হয়েছে। এছাড়া আকরামের বিরুদ্ধে আনিত ৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তবে ৭ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়ো তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এই মামলার অপর আসামি আব্দুল লতিফ তালুকদার মৃত্যুবরণ করায় তার মামলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ দেয়া হয়েছে।
গত বছরের ৫ নভেম্বর রাজাকার কমান্ডার ,সিরাজুল হক ও তার দুই সহযোগী লতিফ-আকরামের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা নির্যাতনের সাতটি অপরাধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মধ্যদিয়ে বিচার শুরু হয়। এর মধ্যে সিরাজ মাস্টারের বিরুদ্ধে পাঁচটি এবং লতিফ ও আকরামের বিরুদ্ধে তিনটি করে অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাগেরহাটের শাঁখারিকাঠি বাজার, রণজিৎপুর, ডাকরা, কান্দাপাড়া গণহত্যাসহ ৮ শতাধিক মানুষ হত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন এবং শতাধিক বাড়িঘরে লুটপাট ও অগি্নসংযোগের অভিযোগ। অভিযোগ গঠন অনুসারে মুক্তিযুদ্ধের সময় সিরাজুল হক ছিলেন তৎকালীন বাগেরহাট মহকুমা রাজাকার বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার। লতিফ ও আকরাম রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন।
বাগেরহাটের আদালত এ মামলাটি ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেয়। পরে এ মামলাটি আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ১০ জুন এ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-১। এর পর বিভিন্ন তারিখে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
পাঠকের মতামত